সালেহ্ বিপ্লব: [২.১] ফরাসি রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই বলেছেন, বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। বিশ্বের এ অংশের স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশ কোন দিকে যায় তা গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে ফ্রান্স আগ্রহী।

[২.২] রাষ্ট্রদূত বলেন, অনেক বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিক মনে করেন সম্পূর্ণরূপে বাণিজ্যিক কারণে ফ্রান্সের এ সম্পর্ক উন্নয়নের আগ্রহ। তারা তথাকথিত এয়ারবাস চুক্তি ও অন্যান্য বাণিজ্যিক বিষয় উল্লেখ করতে চান। অবশ্যই, তারা ভুল। তারা আমাদের প্রতিযোগীদের মাধ্যমে পক্ষপাতদুষ্ট। ইউএনবি

[৩] বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাসে ফান্সের জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। 

[৪.১] রাষ্ট্রদূত জানান, গত কয়েক মাস তাকে অনেকবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছে কেনও ফ্রান্স বাংলাদেশের মতো একটি দেশের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চায়; যেখানে এই অঞ্চলে ফ্রান্সের এরই মধ্যে শক্তিশালী কৌশলগত অংশীদার রয়েছে।

[৪.২] তিনি বলেন, কিন্তু এটা সত্য যে, আমাদের বর্তমান পৃথিবী অবাঞ্ছিত উন্নয়নের নাট্যমঞ্চে পরিণত হয়েছে। এক সময় এটি খুব হতাশাজনক হতে পারে। সংঘাতপূর্ণ এলাকার সংখ্যাবৃদ্ধি, জনপ্রিয়তা ও উদারনীতিবাদের উত্থান, এসবই গুজবের সঙ্গে হাত ধরাধরি করে চলে।

[৫] আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অনুষ্ঠানে দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক মেলবন্ধন ও সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৌশলগত ক্ষমতা অর্জনে সমর্থনের আগ্রহ আছে আমাদের। গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে লেখা চিঠিতেও প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ তা স্মরণ করিয়ে দেন।